জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগে বরগুনা জেলার দুইটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত চিঠির ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়েছেন।
এখন থেকে ওই দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে প্যানেল চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বরখাস্ত শাহ নেওয়াজ সেলিম বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ডিএন কলেজের অধ্যক্ষ এবং এইচ এম গোলাম কবির ১০নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এছাড়া বরখাস্ত ইউপি সদস্যরা হলেন ১০নং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হানিফ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হারুন মিয়া।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে মৎস্য ভিজিএফের চাল ৮০ কেজির স্থলে ৬০ কেজি করে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বালিয়াতলী ইউনিয়নের দুই গ্রাম পুলিশকে জেলেদের চাল প্রদান করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় উল্লেখিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।