সরকারি ব্যবস্থায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ফির হার নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তাতে বলা হয়েছে, বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০০ টাকা করে দিতে হবে। আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে ফি হবে ৫০০ টাকা।
সোমবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ড. নার্গিস বেগম স্বাক্ষরিত ওই পরিপত্রে বলা হয়, সব সরকারি হাসপাতালে ‘খুব শিগগিরই’ এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলছে, কোভিড-১৯ শনাক্তে আরটিপিসিআর টেস্ট বর্তমানে বিনামূল্যে করছে সরকার। এ কারণে ‘কোনো উপসর্গ ছাড়াই অধিকাংশ মানুষ’ এ পরীক্ষা করানোর সুযোগ নিচ্ছে।
“এ অবস্থায় কোভিড-১৯ এর নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিমিত্তে অপ্রয়োজনীয় কোভিড-১৯ টেস্ট পরিহার করার লক্ষ্যে পরীক্ষার জন্য এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।”
পরীক্ষার ফি বাবদ আদায় করা অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা এবং মুক্তিযোদ্ধা, দুঃস্থ ও গরিব রোগীদের চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত আগের সরকারি আদেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে পরিপত্রে।
বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা হয় গত ২১ জানুয়ারি। প্রথম দিকে শুধু আইইডিসিআরে পরীক্ষা করা হলেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এপ্রিলের শুরুতে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
গত ২৯ এপ্রিল প্রথমবারের মত চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সুযোগ দেয় সরকার। পরে আরও কয়েকটি হাসপাতালে পরীক্ষা শুরু হয়।
এসব হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
বর্তমানে দেশের ৬৮টি গবেষণাগারে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নমুনা পরীক্ষার কিট সরবরাহ করছে সরকার।
এখন দৈনিক নমুনা পরীক্ষা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।