বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পরাজয়ের শঙ্কা মাথা চাড়া দিয়েছিল। কিন্তু হাল ছাড়েননি সাকিব আল হাসান। শক্ত হাতে লড়াই চালিয়ে যান। প্রায় ২ বছর পর ওয়ানডে ফরম্যাটে সেঞ্চুরির আশাও জাগিয়েছিলেন। তবে ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন তিনি। সাকিব খানিক আক্ষেপে পুড়লেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি দীর্ঘ এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। সঙ্গে ওয়ানডে সুপার লিগের মূল্যবান আরও ১০ পয়েন্ট পেয়ে গেল বাংলাদেশ। যার সবই আসলো সাকিবের হাত ধরে।
২০০৯ সালে শেষবার জিম্বাবুয়ে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ দল। ৫ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জয় করেছিল সফরকারী। এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে আবার সিরিজ জয় টাইগারদের।
এর আগে ৯.৩ ওভারে দলীয় ৩৯ রানে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন। তামিম আউট হওয়ার পর ১১ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন-মিঠুন।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সৈকত।
এরপর পঞ্চম উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৬)। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তিনি।
সপ্তম উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। ৩৮.৩ ওভারে দলীয় ১৭৩ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন আফিফ (১৫)।
তামিম, লিটন, মিঠুন, মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, আফিফ আউট হলে সাকিবের সঙ্গে দলের হাল ধরেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। অষ্টম উইকেটে তারা ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
দলের জয়ে ১০৯ বলে ৮টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৯৬ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৩৪ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন সাইফউদ্দিন।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওয়েসলি মাধেভেরে।
এছাড়া ৪৬ রান করেন অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর। ৩০ রান করেন সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ দলের হয়ে তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম শিকার করেন ১০ ওভারে ৪৬ রানে ৪ উইকেট। ৪২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (মাধেভেরে ৫৬, টেইলর ৪৬, মাইয়ার্স ৩৪, সিকান্দার রাজা ৩০; শরিফুল ৪/৩৪, সাকিব ২/৪২)।
বাংলাদেশ: ৪৯.১ ওভারে ২৪২/৭ (সাকিব ৯৬*, সাইফউদ্দিন ২৮*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, লিটন ২১, তামিম ২০)।
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান