শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে ঢাকামুখী পোশাককর্মীদের ভিড়

0
120

কঠোর বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলোতে আজ শনিবার যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপারের হিড়িক পড়েছে। বৈরি আবহওয়ার মধ্যেও আজ সকাল থেকে সচল ১০টি ফেরিতে নদী পার হচ্ছে শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন।

শুধু জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি চালুর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ঘাট অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও নানা অজুহাত দেখাচ্ছে যাত্রীরা। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এসব যাত্রীদের বেশির ভাগই পোশাককর্মী বা পোশাক কারখানার সঙ্গে জড়িত।

এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে রওনা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের দুই-তিনগুন বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

যাত্রীদের দাবি, প্রয়োজনীয় কাজ এবং জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন তাঁরা। পোশাককর্মীরা বলছেন, গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে, তাই যেকোনো উপায়ে গার্মেন্টসে যোগদান করতে হবে, না হলে চাকরি থাকবে না। এসব যাত্রীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমেদ আলী জানান, রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। শুধু জরুরি গাড়ি পারাপারেই ফেরি চালু রয়েছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। ঘাটে গাড়ির চাপ না থাকায় যেসব গাড়ি পারাপারের জন্য আসছে, সেগুলোকে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। তবে, গার্মেন্টস শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। তাঁরা যেকোনো উপায়ে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here