ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করা হচ্ছে। দেশটির জাতীয় দিবস সামনে রেখে শনিবার এক বাণীতে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ও থমকে যাওয়ার আগে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়িয়ে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য ছিল। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুদেশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদের জন্মবার্ষিকীর দিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাইল্যান্ডের মানুষ। রাজা ভূমিবল ২০১৬ সালে পরলোকগমন করেছেন। থাইল্যান্ডের মানুষ দিবসটিকে তাদের পিতা মহাময়ের অনুগ্রহের স্মরণে জাতীয় দিবস এবং বাবা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর বলেন, একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিবেচনাধীন অবস্থায় থাইল্যান্ডের আন্দামান উপকূল এবং বঙ্গোপসাগরের মধ্যে আরও সাশ্রয়ী সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থা চালুর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই নতুন সংযোগ স্থাপনে থাইল্যান্ড ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের মধ্যে জোরালো সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
থাইল্যান্ড অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র যে বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন হয় ১৯৭২ সালের ৫ অক্টোবর। ২০২২ সালে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুটি রাষ্ট্রই নিজেদের জনগণের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে বিগত পাঁচ দশক যাবৎ উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে আসছে।
রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর বলেন, সম্পর্কের শুরু থেকেই উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন মাত্রায় ব্যাপক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে ২০১৩ সালে শুরু করা প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মধ্য দিয়ে। থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করেছে, থাইল্যান্ডও অধির আগ্রহের সাথে ২০২২ এর দিকে তাকিয়ে আছে যখন অসংখ্য দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও সফর আয়োজনের সুযোগ রয়েছে।